ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি

ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ৯ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ কমিটির প্রথম বৈঠক আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।

 

রবিবার (৮ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা কমিটিতে আছেন।

 

গত ১৯ জুলাই ইভ্যালিকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, “এ বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে মোট ৪০৭ কোটি টাকার বেশি দায় এর বিপরীতে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকার কারণ কী? অবশিষ্ট টাকা ইভ্যালির কাছে আছে কিনা- থাকলে সে বিষয়ে তথ্য এবং না থাকলে তার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

নোটিশে আরও ছয়টি বিষয় সম্পর্কেও ইভ্যালিকে জানাতে বলা হয়েছিল।

বিষয়গুলো হলো-

১. এ বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে মোট ৪০৭ কোটি টাকার বেশি দায় এর বিপরীতে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকার কারণ কী? অবশিষ্ট টাকা ইভ্যালির কাছে আছে কিনা- থাকলে সে বিষয়ে তথ্য এবং না থাকলে তার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হবে।

২. ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ কত? গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম অর্থের বিপরীতে প্রতিশ্রুত পণ্য প্রদানের বর্তমান অবস্থা ও এ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

 

৩. ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ, তা পরিশোধের বর্তমান অবস্থা এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

৪. ব্যবসা শুরুর পর থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালি কী পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেছে, মার্চেন্টদের কী পরিমাণ অর্থ শোধ করেছে এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য খাতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

৫. ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি ও বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা

৬. ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা (সংশোধিত) এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনও ব্যবসায় পদ্ধতি, কার্যক্রম ইভ্যালিতে এখনও আছে  কিনা? থাকলে কী এবং সে বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে হবে।

 

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই, গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (মার্চেন্ট) কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা করে ইভ্যালি ডটকমের বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠায় মন্ত্রণালয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন